রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহম্মদ আবদুল মুকতাদির, ২৫ ই মার্চ ১৯৭১,পাকিস্তানী মিলিটারির নির্মম গণহত্যার স্বীকার

শহীদ মুহম্মদ আবদুল মুকতাদির জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪০ সালে, সিলেট  জেলায় । ১৯৫৬ সালে সিলেট রাজা হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৮ তে সিলেট মুরারীচাঁদ কলেজ থেকে আই এস সি , ১৯৬২ সালে ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এস সি শেষ করেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে হাইড্রোলজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন 

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে  অধ্যয়ন  কালে ব্রিটিশ সরকারের কর্মসূচির অধীনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন ১৯৬৪ সালে লেকচারার হিসাবে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সিনিয়র লেকচারার পদে কর্মরত ছিলেন ভূ-তত্ত্ব  বিভাগে 

১৯৬০ দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ,১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান , ১৯৭১ সালে সকল আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন ও অংশগ্রহণ করেছেন

১৯৭১ সালের ২৫ই মার্চ কালোরাত্রিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় যে সকল শিক্ষক শহীদ হন , তাদের মধ্যে মুহম্মদ আবদুল মুকতাদির অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ভবন নং ১২তে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে 


                                           আলোকচিত্র + শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহম্মদ আবদুল মুকতাদির


 তথ্য সংগ্রহ -- বাংলাদেশ ডাক বিভাগ  কর্তৃক প্রকাশিত, শহীদ বুদ্ধিজীবি  স্মারক ডাকটিকিট ১৯৯৩ এর পোস্টাল ম্যাটেরিয়াল বুক থেকে  
       

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

তবুও ফেইসবুক

বুও ফেইসবুক , প্রথমে শুরু করতে চাই  ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এর ক্যামব্রিজ এনালিটিকা সমাধান নিয়ে পোস্ট এর কয়েকটি কথা দিয়ে। মার্ক বলেছেন , আমাদের দায়িত্ব ফেইসবুক  ব্যাবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা দেয়া , এটি যদি আমরা নিশ্চিত না করতে পারি তাহলে আমাদের সেবা দেয়ার অধিকার নেই। পুরো বিষয়টি নিয়ে মার্কের সরল স্বীকারোক্তি  ফেইসবুক "ভুল" করেছে 

ক্যামব্রিজ এনালিটিকা একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান , যারা মূলত তথ্য গবেষণা , ডাটা মাইনিং , স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন নিয়ে কাজ করে এবং রাজনৈতিক ও নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রচারণায় তথ্যের যোগান দিয়ে থাকে। হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গুলোতে ফলাও করে সংবাদ আসতে থাকে যে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ কোটির বেশি ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেআইনি ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে কেমব্রিজ এনালিটিকা । যা সর্বোপরিভাবে ফেসবুকের সুনাম এবং অর্জন কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আরো ব্যাপক ভাবে প্রচার হয় । অনেকেই হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে  ফেইসবুক ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানান

মার্ক জাকারবার্গ এর  পোস্ট টিতে একজন ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে , আলেক্সান্ডার কোগান। কোগান ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক , কোগান এর  তৈরী একটি এপ্লিকেশন  ৩ লক্ষ ব্যাবহারকারির তথ্য একসেস করে ফেলে , এপ্লিকেশন টি দিয়ে। পরবর্তীতে কোগান তথ্য গুলো ক্যামব্রিজ এনালিটিকা  নামক প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করে দেয় ঘটনার পরে থেকে অনেকেই মনে করছেন বিশাল তথ্যভান্ডার অনেকটাই অনিরাপদ। আলেক্সান্ডার কোগান  কর্তৃক নির্মিত  এই এপ্লিকেশনটি  শুধু ব্যবহারকারীর নয় , সাথে সাথে ব্যাবহারকারী ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা বন্ধুদের তথ্য এক্সেস করতে সক্ষম ছিল

বিষয়টি নিয়ে কেমব্রিজ এনালিটিকার সাবেক কর্মী ক্রিস্টোফার উইলিই, গার্ডিয়ান সংবাদপত্র কে বলেন, কেমব্রিজ এনালিটিকা একটা সম্পূর্ণ প্রোপাগান্ডা যন্ত্র

কেমব্রিজ এনালিটিকা দাবি করেছে, ক্রিস্টোফার উইলিই বক্তব্য সঠিক নয়। কেমব্রিজ এনালিটিকা,  ফেইসবুক হতে যে প্রক্রিয়া সমূহে  তথ্য সংগৃহিত হয়েছিল তা  জানার পর , সকল তথ্য ডিলিট করে দেয়।এমনটিই বলেছে  কেমব্রিজ  এনালিটিকা  
ঘটনাটি জনমনে আলোড়ন সৃস্টি করার পর, কেমব্রিজ এনালিটিকা তাদের প্রধান নির্বাহী  আলেক্সান্ডার নিক্স  কে বরখাস্ত করে

ফেইসবুক তাদের তথ্য নিরাপত্তা  আরো জোরদার এবং কঠোর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে