বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার , আমার অভিজ্ঞতার দিনলিপি -১

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার , আমার অভিজ্ঞতার দিনলিপি -১


 রুমি রায় চৌধুরী , (ফরাসী দৈনিক লে ফিগারো তে  কর্মরত আলোকচিত্রী )


লাইন ধর ,কথা কম। ফাইল এ ববি ,নড়াচড়া বন। ঘন্টা খানেক ,তারপর চেক,সেখান থেকে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো আমদানি তে। আমদানি হলো সদ্য হাজতিদের স্থান। বলতে ভুলে গিয়েছিলাম ,গারদ থেকে মাহুতটুলির আসতে হয়েছে যে গাড়িতে সেই প্রিসন ভানে ৬০ জন হব আমরা। তার ঘোর তখন পর্যন্ত কাটেনি।

আমদানিতে আসার পর জ্ঞান দিলেন একজন সিনিয়র কয়েদী। ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেন কোনরকম নিয়ম বহির্বূত কাজ চলবে না এখানে। একজন কারারক্ষী বললেন  "জায়গা -সম্পত্তি বেইচা বাইর হইতে হইব " । তার আগে তাজমহল দেখানো হলো আমাদের। তাজমহল সম্পর্কে বলি তাজমহল একটি শিল্প -কর্ম  যা অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ,শিল্পকর্মটি তৈরী করেছেন ২ কয়েদী যারা সম্পর্কে পিতা -পুত্র।

মিথ্যে বলবোনা ,আমদানিতে আমাদের আপায়ান করা হয় ভাজা মাছের একটি টুকরো দিয়ে। রাত্রে ঘুমাতে যেয়ে টের পাই ,বেশ কঠিন রকম গাদাগাদি। কোনভাবে রাত টা পার করতে হবে। সেখান থেকে একটা বিষয় শিখেছিলাম সিগারেট হলো ফার্স্ট কারেন্সী ইন জেল। সিগারেট এ  প্রায় সব হয় এখানে।

ফজর হওয়ার আগে , যে যে নামাজ পরবে তাদের জন্য দুবার সতর্ক ডাক দেয় কারারক্ষী রা।
সকাল হওয়ার সাথে সাথে টেবিল এ বসেন কর্মকর্তা। সবার পরিচয় জেনে কার্ড তৈরী করেন তিনি। আমার "মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান " সুরত দেখে তিনি আমার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন। জানতে চাইলেন শারীরিক কোনো আঘাত পেয়েছি কিনা।
সাফ জানালাম  ,না

কার্ড তৈরী হলো। তার পর লোটা -কম্বল এর জন্য লাইন এ দাড়াতে হলো । তখন পর্যন্ত আমি গন্তব্যহীন। শুধু ফ্যাল -ফ্যাল করে মানুষের দিকে চেয়ে থাকি। কিছুই জানি না , পরিবেশ টাও কেমন জানি। তখন শুধু আব্বা -আম্মার কথা মনে পরছিল আর সময় পেলেই কানতাম।

চলবে ............................................

  

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪

গণমাধ্যমের খোলা চিঠি -১

সংবাদ কি ,সংবাদ কি রকমের ভূমিকা পালন করে আমাদের সমাজে। এক প্রকারের খোজ করার জায়গা থেকে ছোট একটি বিশ্লেষণ লেখা তৈরী করার চেষ্টা করছিলাম। সংবাদ এক প্রকারের যোগাযোগ , সংবাদ শুধু  টেলিভিসন এর পর্দায় বা দৈনিক সংবাদ পত্রে প্রকাসিত হয় না। সংবাদের ব্যাপ্তি ২৪ ঘন্টাময়। লোকমুখে শোনা কারো মৃত্যুর খবর কেউ আমরা সংবাদ বলতে পারি। সংবাদের বস্তুনিস্ততা নিয়ে আমাদের আলোচনা। সমসাময়িক গণমাধ্যম আমাদের সংবাদ প্রাপ্তির একমাত্র আস্থাস্থল। দেশ বিদেশের সংবাদ আমরা সহজে পেয়ে যাই ইন্টারনেট এর কল্যাণে।

গণমাধ্যম  কেমন , কি তার অভ্ভন্তরীণ  মতাদর্শ  তা আমাদের জানা প্রয়োজন। তাহলে আমরা সংবাদের গ্রহণযোগ্যতা জানতে পারব। বরেণ্য সাংবাদিক তুষার আব্দুল্লার প্রকাশিত "গণমাধ্যম কার মাধ্যম " বই তে লিখেছেন

"কার হয়ে কাজ করছেন তারা ? পাঠক ,দর্শক ,শ্রোতা  কাছে যে খবরটি তুলে ধরছেন তা কতটা সঠিক ,নাকি কর্পোরেট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন তারা"। 




বানিজ্যিক মানদন্ড , সংবাদ এর মানদন্ড হতে পারে না। অমুক ব্যাঙ্ক সংবাদ শিরোনাম  বলে যা প্রচারিত হয় তার অন্তনিহিত মন্ত্র কি ? ব্যবসা নয় তো ? সংবাদ মাধ্যম জনগনের চোখ ও কান। এ বিষয়ে বানিজ্যিক করণ নীতি পরিহার একমাত্র সমাধান। পুজিবাদী মনোভাব যেন গিলে না ফেলে জনগনের ভরসাস্থল।  কর্তৃপক্ষ বিষয় টি নিয়ে ভাববেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। নাইমুল ইসলাম খান সাহেবের "সাংবাদিকতার প্রথম পাঠ " বইটি থেকে একটি উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই 

"বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটেছিল সাংবাদিকতার ইতিহাসের বিকাশের অংশ হিসাবেই "

লেখক ------ আইন ছাত্র (৩য় বর্ষ )
                   ফ্রিল্যান্স সংবাদ কর্মী 
                   সহকারী মুখপাত্র ( বাংলাদেশ 'ল' এসোসিয়েশন, ছাত্র উইং )

বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী এস ,পি মুন্সী কবিরউদ্দিন আহমেদ


শহীদ বুদ্ধিজীবী এস ,পি মুন্সী কবিরউদ্দিন আহমেদ 





কুমিল্লার পুলিশ সুপার মুন্সী কবিরউদ্দিন আহমেদ ১৯৭১ সালে ২৩ মার্চ গোয়েন্দা সুত্রে জানতে পেরেছিলেন পাকিস্তানি আর্মি পুলিশ লাইন আক্রমন করবে। দৃঢ় চিত্তে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ ছিলেন পুলিশ লাইন পাকিস্তানিদের কন্ট্রোলে যেতে দিবেন না। পুলিশ লাইন এর অস্ত্র -গোলাবারুদ  কোনোভাবেই যেন পাকিস্তান আর্মির করায়ত্ত না হয়।
২৩ মার্চ পাকিস্তানি আর্মি হামলা করেনি। পাকিস্তানি সেনা আক্রমন চালায় ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে।  শহীদ বুদ্ধিজীবী এস,পি মুন্সী কবিরউদ্দিন কুমিল্লা পুলিশ লাইন এ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর যুদ্ধাস্ত্রর বিপক্ষে টিকতে পারেনি তার প্রতিরোধ ইউনিট। ভোরের দিকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন  দখল করে নেয় পাকিস্তানি সেনারা।

অসংখ পুলিশ সদস্য কে হত্যা করা হয়। ২৬ মার্চ  সকালে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী শহীদ বুদ্ধিজীবী এস ,পি মুন্সী কবিরউদ্দিন আহমেদের সরকারী বাসভবনে হানা দেয়। স্ত্রী ,বৃদ্ধ মা ,পাচ সন্তানের আহাজারি পাকিস্তানি সেনাদের আটকাতে পারেনি। মুন্সী কবিরউদ্দিন এর বৃদ্ধ মা তাকে বুকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। মাকে তিনি বলেছিলেন "মা ,আমি এক্ষুনি চলে আসবো ,তুমি চিন্তা করোনা "

এটাই তার শেষ যাওয়া , তিনি আর ফিরে আসেননি। তার লাশ পাওয়া যায় নি। ২৬ মার্চ কুমিল্লার ডি ,সি  এবং এস, পি  কে হত্যা করা হয়।


শহীদ বুদ্ধিজীবী সুখরঞ্জন সমদ্দার

শহীদ বুদ্ধিজীবী সুখরঞ্জন সমদ্দার 



জন্ম :ইলুহার গ্রাম ,বরিশাল

স্থানীয় বাইশারী স্কুল থেকে ১৯৫২ সালে মেট্রিকুলেসন। বরিশাল বি ,এম কলেজ থেকে আই ,এ পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে সংস্কৃতে (অনার্স ) পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এম,এ ডিগ্রী লাভ করেন।

১৯৫৮-১৯৫৯ সালে গোপালগঞ্জ কলেজ এ অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৬০ এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত অনুষদের লেকচারার পদে যোগদান।  
সুখরঞ্জন সমদ্দার মুক্ত চিন্তার মানুষ ছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চিন্তার চেতনার কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্যাতি অর্জন করে ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত চর্চা করতেন।

১৯৭১ এর ১৪ ই এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াটার থেকে পাকিস্তানি ফোর্সেস সদস্যরা  তাকে ধরে নিয়ে যায়। তিনি আর ফিরে আসেন নি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী এস ,এম ফজলুল হক

শহীদ বুদ্ধিজীবী  এস ,এম  ফজলুল হক  



জন্ম :মোহনপুর, নওগা
জন্ম তারিখ :১৯৩২

রাজশাহী সরকারী কলেজের গণিতের অধ্যাপক ছিলেন। সংস্কৃতিমনা  ছিলেন ,নাটক ও আবৃত্তি তে আগ্রহ ছিল  তার। উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। ছাত্র অবস্থায় বিয়ে করে ছিলেন। এম.এস.সি  পাস করেন ১৯৫৯ সালে। ১৯৬০ সালে নওগাঁ বি .এম  .সি কলেজ এ লেকচারার পদে যোগদান করেন।  ১৯৬৫ সালে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ এ বদলি হন।

১৯৭১ র মার্চে নওগাঁ নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। সে সময় বাঙালি -বিহারী  যুদ্ধ চলছিল বিভিন্ন জায়গায়।
১৯৭১ ২৫শে এপ্রিল ভোর রাতে পাকিস্তানি মিলিটারি শহীদ এস ,এম  ফজলুল হক এর বাড়ি ঘিরে ফেলে। এলোপাথারি ব্রাশ ফায়ার চালায় পাকিস্তানি আর্মিরা। ফজলুল হক সহ তার মা ,নানী ,ভাই -বোন্  সবাই কে হত্যা করা হয়। তাদের বাড়িতে একই সাথে ১২ জন শহীদ হয়েছিলেন।

শহীদ ফজলুল হক এর নসীবে কবর জোটেনি ,নরপশুরা গর্ত করে শহীদদের মাটি চাপা দেয়।


******তথ্য গুলো কোনো ওয়েব থেকে পাওয়া যায় নি।**********

শহীদুল্লা কায়সার

শহীদুল্লা কায়সার

  

জন্ম : মযুপুর ,ফেনী ,নওয়াখালী
জন্ম তারিখ : ১৬ ফেব্রুয়ারী ১৯২৬
পেশা :সাংবাদিক ,সাহিত্যিক

১৯৪৬ সনে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতি তে অনার্স সহ বি.এ পাস করেন। ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে এম. এ ক্লাসে ভর্তি হন। সাংবাদিক শহীদুল্লা কায়সারের হাতেখড়ি হয় সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকা দিয়ে। উনিশো আটান্ন সালে সংবাদ এর সহকারী সম্পাদক পদে যোগদান করেন। ১৯৫২ তে  সরাসরি ভাষা আন্দোলনের জড়িত ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই বাম ঘরানার রাজনীতিতে যুক্ত হন ,পরে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একই বছরের ৩ জুন গ্রেফতার হন।  ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত জেলে বন্দী ছিলেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানি শাসক আইয়ুব খানে আমলে পূনরায় কারারুদ্ধ। ১৯৬২  সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তি পান।

রাজনীতি ,সাংবাদিকতার সাথে কথা সাহিত্যিক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন শহীদুল্লা কায়সার। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হলে অন্যান্য বুদ্ধিজীবিদের দেশ থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও নিজে মাতৃভূমি ছেড়ে কোথাও যান নি। ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর  ঘাতক দল তাকে তার কায়তটুলির বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়   ।

প্রকাসিত গ্রন্থ

১. পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ (১৯৬৬)
২.সারেং বৌ (১৯৬২)
৩.  সংশপ্তক  (১৯৬৫)
৪.রাজবন্দীর  রোজনামচা (১৯৬২)
৫. তিমির বেলায়
৬. দিগন্তে ফুলের আগুন
৭. কৃষ্ণচূড়া মেঘ

পুরস্কার সমূহ 
১.আদমজী সাহিত্য পুরস্কার
২.বাঙলা একাডেমি পুরস্কার
৩. স্বাধীনতা পুরস্কার ১৯৯৮ (মরণোত্তর )

মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৪

                                             বাংলাদেশ 'ল' এসোসিয়েশন ( স্টুডেন্ট উইং )               

                                                         নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ

                                                                    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর  আইন অনুষদের  সম্মানিত ডীন জনাব প্রফেসর ড . আব্দুল হক কে  অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মনোনীত করায়   আইন বিষয়ক গবেষণা ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ 'ল' এসোসিয়েশন ( স্টুডেন্ট উইং ) এর পক্ষ থেকে ০২/১২/২০১৪ ইং তারিখে এক অনাড়ম্বর ছাত্র সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রভাষক ও ছাত্র -ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। 
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র -ছাত্রীদের যুগোপযুগী শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের কল্যাণে ব্রত হওয়ার পরামর্শ  প্রদান করেন। 
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনায় ছিলেন বাংলাদেশ 'ল' এসোসিয়েশন ( স্টুডেন্ট উইং ) এর  মুখপাত্র  কাইয়ুম হোসেন নয়ন ।
সংগঠনের পক্ষে শুভেচ্ছা  বক্তব্য রাখেন রিয়াজুল ইসলাম ,মারুফ রায়হান খান ও তানভীর আলম খান।




বাংলাদেশ ল এসোসিয়েশন এর পক্ষে 
        তানভীর আলম খান

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

শহীদ বুদ্ধিজীবিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী

আমি অনেকদিন থেকেই চেষ্টা করছিলাম শহীদ বুদ্ধিজীবিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী সংগ্রহের। ডাক টিকেট সংগ্রহ করতে যেয়ে অনেক কষ্টে কিছু বুদ্ধিজীবিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী হাতে পাই। পড়তে পড়তে  কখন যে সময় শেষ হয়ে যায় টের পাই নি। সারা দেশেই লিস্ট করে বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে প্রো -পাকিস্তানি ফোর্সেস ও লোকাল দালাল বাহিনী .... পুরো ১৯৭১ সালের যুদ্ধ চলাকালীন সময় এ মিসন চালায় পাকিস্তানি বাহিনী।

১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শেষ দিকেই পুরোদমে চলতে থাকে বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবী নিধন।  পাকিস্তান মিলিটারি ফোর্সেস বুঝতে পারছিল ভৌগোলিক কারণে যে কোনো সময় "ঢাকা ডাউন" হয়ে পড়তে পারে। তত্কালীন উর্ধতন সামরিক কর্মকর্তারা  বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের  টার্গেট করেন। 


শিক্ষক ,সাংবাদিক ,আইনজীবী , ডাক্তার , মিডিয়া পারসন ,শিল্পী -সাহিত্যিক ,সমাজ সেবক ,লেখক ,সংগঠক ,প্রকৌশলী ,সরকারী আমলা , ক্রীড়াবিদ , বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে  বিশ্বাসী  স্বাধীনতাকামী  বুদ্ধিজীবিদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি ফোর্সেস ও লোকাল স্বাধীনতা বিরোধী বাহিনী।

আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে বেশকিছু বুদ্ধিজীবিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরার। মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের মহান আত্মত্যাগ কে  তুলে ধরার চেষ্টা আমাদের থাকবে।
১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবিদের হত্যার প্রামান্য আলোকচিত্র (ওয়েব হতে সংগৃহীত )



 সিরিস প্রতিবেদন দেখার জন্য চোখ রাখুন আমার ব্লগ এ।

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৪

ক্রিস্টিন আমানপোর......মিলিয়ন ডলার সংবাদ কর্মী

সি এন এন  বার্তা কক্ষে কর্মরত আমানপোর 

বর্তমান সময়ে শীর্ষে যে কয়জন সংবাদ  সংশ্লিষ্ট মানুষ রয়েছেন তাদের মধ্যে ক্রিস্টিন আমানপোর অন্যতম। সি এন এন এর প্রধান আন্তর্জাতিক  সংবাদাতা তিনি। ব্রিটিশ -ইরানি  এ  সংবাদ কর্মীর জন্ম ১৯৫৮ সালে। আমানপোর   ১৯৮৩ সালে যোগদান করেন সি এন এন এ। লেখাপড়া করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ রোড আইল্যান্ড এ  সাংবাদিকতা  বিষয়ে।
ইরান -ইরাক যুদ্ধ  তার সংবাদ জীবনের প্রথম দিকের এসাইনমেন্ট ছিল ,তার পর হতেই তিনি লাইম লাইট এ চলে আসেন। আমানপোর এ পর্যন্ত আফগানিস্তান ,পাকিস্তান ,উত্তর কোরিয়া , ফিলিস্তিন ,সুদান ,রাওয়ানদা ,সোমালিয়া ,লিবিয়া ,মিসর , সমগ্র ইউরোপ আমেরিকা তে চলমান ঘটনা নিয়ে সংবাদ করেছেন, এ  গুনী সাংবাদিক ১৯৯২ সরাসরি বসনিয়ান যুদ্ধ রিপোর্ট করেছেন যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে। পৃথিবীর শীর্ষ দেশের প্রায় সব নেতাদের সাক্ষাতকার নিয়েছেন ক্রিস্টিন আমানপোর। তাদের তালিকা মুয়ামমার গাদ্দাফি( লিবিয়া ), হুসনি মুবারক (মিসর ), টনি ব্লেয়ার (সাবেক ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী ), জাক শিরাক (ফ্রান্সের সাবেক রাষ্ট্র প্রধান ),

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাকে মধ্যপ্রাচ্য বিশারদ বলে থাকেন। তার সাংবাদিকতার বেশি সময় কেটেছে যুদ্ধ সংক্রান্ত রিপোর্টিং করে। ক্রিস্টিন আমানপোর নিজ নামেই সি.এন.এন  এ অন এয়ার হয়ে থাকেন। আমানপোর কে মিলিয়ন ডলার সংবাদ কর্মী বলে থাকেন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা।
   

দাউদ ইব্রাহিম ...মুম্বাই অপরাধী সম্রাট


দাউদ ইব্রাহীম  সমগ্র ভারতের সীমানা পেরিয়ে আধিপত্য বিস্তার করেছেন পাকিস্তান ,দুবাই ,পর্তুগাল , সহ পুরো উপমহাদেশে। দাউদ এর জন্ম ১৯৫৫ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রে। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে দাউদ ইব্রাহীম মুম্বাই শহর      এর  মাফিয়া ডন। তবে তার অপরাধ বৈচিত্রতা  তার শুধু  একজন  মাফিয়া ডন হওয়ার পরিচয়কে ছাপিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা  ইন্টারপোল লিস্ট এ  অবস্থান নেয়া দাউদ অপরাধ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন ভারতের বাইরে বসে। কখনো দুবাই ,কখনো পর্তুগাল  কখনো বা সরাসরি মুম্বাইতে বসে।

জনবহুল শহর মুম্বাইতে তার আধিপত্য রয়েছে সব খাতেই।  মুম্বাইতে স্থাপিত বলিউড চলচিত্র শিল্পের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে দাউদের। দাউদ ইব্রাহীম হলেন ভারতের "মোস্ট ওয়ানটেড ম্যান "   রাষ্ট্রের সাথে দাউদ এর   সরাসরি  শত্রুতা  শুরু হয়   ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণ সংঘটনের  পর হতে। ভারতের আধুনিক ইতিহাসে যাকে আক্ষা দেয়া হয় "ব্ল্যাক ফ্রাইডে বলে। ৩০০ জন নিহত হয় ,১৩০০ এর মত পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

২০০৩ সালে  দাউদ ইব্রাহীম কে  মার্কিন সংস্থা গুলো  বৈশ্বিক সন্ত্রাসী  হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১৪ সালের মোদী -ওবামা  বৈঠকে দাউদ ইব্রাহীম ইসু স্থান পায়।

বাক্তিগত দাউদ ইব্রাহিম
 চোখে পরিহিত অরিজিনাল রে এন্ড বেন এর এভিয়াটর ,ইতালিয়ানি সুটেড , জাপানি ব্র্যান্ড জুতো , সুইস ঘড়ি ,সিগনেচার পারফিউম। এককথায় দেখতে অমায়িক জাতি  ভদ্রলোক। আকর্ষণ করার  ক্ষমতা ভীষণ রকমের।১৯৮০ ও ১৯৯০ দশকের সমগ্র ভারত মাতানো  জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা দাউদ ইব্রাহিমের প্রেমে হাবু -ডুবু  খেয়েছেন। অলিখিত ভাবে  একক সম্রাট ছিলেন চলচিত্র জগতের। অবধি মুম্বাই তে চলচিত্র নির্মানে লগ্নি করছেন কোটি-কোটি  টাকা। ভারতের চলচিত্র কে আন্তর্জাতিক ভাবে  অর্থ উপার্জন কৌশল বাতলে দিয়েছেন তিনি। খুব সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠা দাউদের। এখন দাউদ সরাসরি কোনো কাজ করেন না ,ডি কোম্পানি সুপারি নিয়ে থাকে। অপহরণ ,উসুলি ,ভয় তৈরী ,ভাংচুর , হত্যা,  ইত্যাদি  নিয়ন্ত্রিত হয় লোকাল গ্যাং  দ্বারা যারা আবার ডি-কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত। অবাধ তার নেটওয়ার্ক , বৈচিত্র তার অপরাধ।  ভারতে মাদক বানিজ্য ,পতিতালয় ,অস্ত্র ব্যবসা ,চোরাচালান , পর্নো ব্যবসা  ,আবাসিক হোটেল , পরিবহন ,সহ নানা ধরন এর অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন এ মাফিয়া ডন।

উপমহাদেশে একটা রীতি আছে  ভারতের শত্রু অর্থাৎ পাকিস্তানের বন্ধু। তার সম্পর্কে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর বক্তব্য দাউদ ইব্রাহীম পাকিস্তান -আফগানিস্তান সীমান্ত ঘেষা এলাকায় মাঝে মধ্যেই সফর করেন। ডি কোম্পানির হেড কুয়াটার দুবাই।  আরব গালফ অঞ্চলে ব্যবসা রয়েছে তার। তার কোনো ছবি মিডিয়া তে আসে না।  পুরাতন ছবি গুলো আছে শুধু। ছেলের বিয়েতে ভারতে এসেছিলেন ঠিকই গোয়েন্দা গণ শত চেষ্টা সত্তেও ধরতে পারেন নি তাকে। দাউদের ছেলে মাহরুক এর বিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাদ  এর মেয়ের সাথে।

ভারতে আই পি এল কে জুয়ার ব্যবসা বানিয়ে  কোটি -কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন দাউদ। খেলা পাতানো তার বর্তমান ব্যবসা। বেশকিছু অন লাইন সাইট বলছে দাউদের মূলত ব্যবসা রিয়েল -এস্টেট। যাকে পুজি করে সে অবস্থান করছেন দুবাই তে।

 কয়েকটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে হটলিংক রয়েছে তার। মার্কিন তথ্য বলে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আই.এস. আই সাথে লিয়াজো রয়েছে তার। তা ছাড়া আল - কায়েদা নেটওয়ার্ক ভালো দাউদ ইব্রাহিমের । লস্কর -ই -তাইয়েবা সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। মধ্যপ্রাচ্যে মানি লন্ডারিং বা হুন্ডি ব্যবসা আছে তার ডি কোম্পানির।

২০১১ সালে ফোর্বেস ম্যাগাজিনের শীর্ষ ১০ অপরাধীর তালিকায় ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম।

সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

ডাক টিকেট টিতে স্থান পেয়েছে ফরাসি ফুটবল কর্মকর্তা জুলেস রিমেত। যুলেস রিমেত ফিফার অন্যতম ফাউন্ডার। তার কার্যকাল থেকেই বিশ্বকাপ প্রচলন হয় ,১৯৩০ সালের প্রথম ট্রফি দিয়ে যাত্রা হয় বিশ্ব ফুটবল  এর।   

জুলেস রিমেত কে  নিয়ে  প্রকাশিত ডাক টিকেট 

জুলেস রিমেত ট্রফি 

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

১১ বছরে পদার্পণ করলো নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়

দক্ষিনখান স্হায়ী  ক্যাম্পাস জুড়ে  নর্দান ইউনিভার্সিটি সাজ সাজ রব ,ছাত্র -ছাত্রী ,ফাকাল্টি ,কর্মকর্তা -কর্মচারী সবাই মিলে এসেছেন বর্ষপূর্তির আয়োজনে। ০৮ ফেব্রুয়ারী পালিত হলো বিশ্ববিদ্যালয়টির ১১ তম বার্ষিকী। পরিবর্তনের মূলমন্ত্রে শিক্ষা ,নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় শ্লোগানে মুখরিত হয়ে যায় ক্যাম্পাস এলাকা । 
বর্সপূর্তি অনুষ্ঠান এ উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যূত ও জালানি প্রতিমন্ত্রী জনাব  নসরুল হামিদ  এম পি। তিনি নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগ , ডিপার্টমেন্ট অফ ইংলিশ কে  সাধু বাদ দেন দেশের উচ্চশিক্ষা প্রসারে কাজ করার জন্য। 
অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল্লাহ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় মেলে ধরেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন আগামী দিন গুলোতে দেশের জন্য কাজ করতে হবে নর্দান গ্রাজুয়েটদের। যোগুপযুগী শিক্ষা বাংলাদেশের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী করবে বলে তিনি আশাবাদ রাখেন। 
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ভি সি শামসুল হক ফুল দিয়ে বরণ করেন দেশের শীর্ষ রক ব্যান্ড মাইলস কে। গান পরিবেশন করেন ব্যান্ড এর  সদস্যরা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাইয়েদ সরফরাজ হামিদ , ডিন ড আব্দুল হক। 
 



শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা ২০১৪ শেষ হবে।

দেশীয় পণ্য রপ্তানি প্রসার এ ভুমিকা রাখবে বানিজ্য মেলা ২০১৪ ,বৈদিশিক বাজারে বাংলাদেশ পন্যের  স্বতন্ত্র  বাজার তৈরী করার উদ্যোগ  গ্রহণ করে মেলা টি আয়োজিত হয়। দর্শক -ক্রেতা  সমাগমে শের- এ-বাংলা  নগর মাঠে নানা ধরনের দেশীয় পণ্য নিয়ে আসেন ব্যবসায়িরা।

তবে বিদেশি পণ্য তুলনামূলক কম থাকায় অনেক দর্শক হতাশ হয়েছেন  বলে তথ্য আছে।

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

দেশ এগিয়ে যাবে -স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

দেশ এগিয়ে যাবে -স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী 

গণপ্রজাত্রন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের  স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান  বলেছেন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।কোনো শক্তি দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা কে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না.

জনগনের মৌলিক অবস্থার পরিবর্তন করবে এই সরকার ,তিনি আরও বলেন দেশের আগামী প্রজন্ম কে  দক্ষ শক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে হবে

প্রতিমন্ত্রী মহোদয় কে ০৬/০২/১৪ তারিখে   সংবর্ধনা দেয় আবুল হালিম পাটওয়ারী ফাউন্ডেশন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এ
 উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ড.পাটওয়ারী।        

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

শুরু হল বাঙালির প্রানের মেলা অমর একুশের বইমেলা ২০১৪, ০৩ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত  হয় , বাউলিয়ানা ঘরানার শিল্পী রিংকু গান পরিবেশন করেন,

তানভীর খান ফোটোগ্রাফি



03 february,2014

০৩ ফেব্রুয়ারী অমর একুশে বইমেলায় ,মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয় ,জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ ,এমপি  বেশ কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ঊর্ধতন কর্মকতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।   

তানভীর খান ফোটোগ্রাফি 

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৪

৩০ জানুয়ারী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ,তেজগাঁও জোন এর  পক্ষ থেকে  ফার্মগেট এ হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরন করা হয় ,স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান  খান ও ডিএমপি কমিসনার বেনজীর আহমেদ  উপস্থিত ছিলেন। 

তানভির খান ফোটোগ্রাফি 


বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৪

কারবালা মিছিল ২০১৩,ছবিটি  কারওয়ান বাজার থেকে তোলা 

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

কলাতলী 

cox bazaar

নভেম্বর মাস জুড়ে হরতাল --অবরোধ চলছিলো তারমাঝে কক্সবাজার tour দিলাম  আমার  তোলা   ছবি



file:///E:/coxbazar/DSC00484.JPG

tanvir khan Photography

সুন্দর কিছু মুহূর্ত থাকে মানুষের জীবনে ,কিছু সুন্দর সময় আসে মানুষের জীবনে। আমরা সেই সব ক্ষণ গুলোকে ফ্রেম বন্দী করি। বিয়ে ,গায়ে হলুদ ,বৌভাত , ছবি তোলা হয়।

আমাদের মুল্য তালিকা
১.৪ ঘন্টা  শিফট - ৪৫০০ হাজার টাকা।
২.কমপ্লিট শিফট -১৫০০০ হাজার টাকা।

যা পাবেন -১ .১০০ ছবি + অ্যালবাম
                ২. দ্রত সরবরাহ।
                ৩. ক্লাসিক প্যাটার্ন ফটোগ্রাফ

কমপ্লিট শিফট এ যা  পাবেন -
১. প্রতি অনুষ্ঠান এর ১১০ টি  ছবি।
২. অ্যালবাম
৩.গিফট ফটো।

যোগাযোগ - তানভীর খান ফোটোগ্রাফি
১০০ গ্রীন রোড ,ফার্মগেট ,ঢাকা
ফোন -০১৭৩৭৯৯০৮৫৪।