গণমাধ্যমের খোলা চিঠি -২
তানভীর আলম খান
তিনি আমার দূর সম্পর্কের মামা। সরাসরি রাজনীতি করেন। তবে বর্তমানে তিনি ক্ষমতায় নেই। যতদুর জেনেছি রাজনীতির কারণে অনেক প্রতিপক্ষ তৈরী হয়েছে তার। তবে তার রাজনৈতিক অবস্থান গণমাধ্যমে সংবাদ হবার মত নয়। আচমকা একদিন তাকে পুজিবাদী ও ব্যবসায়িক টেলেভিসন চ্যানেল এ দেখি। অপরাধ বিষয়ক অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য তিনি।
প্রথমে খটকা লাগে ,তারপর পুরো ঘটনাটি অনুধাবনের চেষ্টা করি।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তাকে সরাসরি হত্যাকান্ডে জড়িত বলে প্রচার করছিলেন। পরবর্তিতে ময়নাতদন্ততে বেরিয়ে আসে ভিকটিম নিজে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। তখন আমার অনুসন্দিত্সু মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উদিত হয়। তাহলে কেন কভারাজে আনা হলো তাকে । তিনি কোনো হোমরা চোমরা রাজনীতিবিদ নন। তবু তাকে কয়েকদিন ফলাও করে প্রচার করে টেলিভিসন চ্যানেলটি। পরে জানতে পারি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এর নিকট হতে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে হয়রানি করার কন্টাক্ট টি নিয়েছিল তথাকথিত সে সাংবাদিক কম উপস্থাপক। আমার সে মামা নিজেও ২ লক্ষ দিয়েছিলেন সেই ভদ্রলোক কে তার বিরুদ্ধে এমন অনুষ্ঠান প্রচার না করার জন্য। তাতেও শান্ত হননি সেই সাংবাদিক।
আমার সুযোগ হয়েছিল সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনী 'র (পটুয়াখালী ) সাক্ষাতকার নেয়ার। তিনি শিকার হয়েছিলেন কর্পোরেট হলুদ সাংবাদিকতার। তিনি সাক্ষাত্কারে একটি ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন " ভেস্টেদ গ্রুপ "
যাকে হিন্দি মাফিয়া ভাষায় বলা হয় সুপারি।
কয়েকদিন আগে শুনতে পেলাম ঐ হলুদ সাংবাদিকের নামে মামলা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের দুর্নীতি নিপাত যাক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন